দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের ভারী ও মাঝারি শিল্প-কারখানা, বিশেষ করে আমন ধানের সম্পূরক সেচ মৌসুমে ১৬টি জেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র বিদ্যুৎ সংকট।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর কয়লাখনির কয়লা ব্যবহার করে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। আজ সোমবার সকালে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটও বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কারকাজের কারণে দীর্ঘ ৪ বছর ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে তিনটি ইউনিটই অচল হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে একসঙ্গে সব ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, শিল্প ও সাধারণ জনগণ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,
“যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলমান ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। আর আগে থেকেই মেরামতের জন্য ২ নম্বর ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মেরামত না করা পর্যন্ত কোনো ইউনিটই চালু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”
বর্তমানে কেন্দ্রের উৎপাদন শূন্য হওয়ায় জাতীয় গ্রিড থেকে উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে এলাকায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ ঘাটতি আরও বেড়েছে।