একটা দলের ফর্ম কতটা দুর্দান্ত হলে টানা ২৩ ম্যাচে কেউ তাদের হারাতে না পারে? বার্সেলোনার ক্ষেত্রে এখন এটাই বাস্তবতা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে এমন এক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে কাতালানরা, যা শুধু জয় নয়—একটা বার্তা। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এখন তারাই সবচেয়ে বড় দাবিদার।
ডর্টমুন্ডকে একপ্রকার দাঁড়াতেই না দিয়ে ৪–০ গোলের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। আর এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দরজায় প্রায় পা রেখেই ফেলেছে তারা।
প্রথমার্ধে একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে ডর্টমুন্ডকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেয় বার্সা। রবার্ট লেভানডফস্কি করেন জোড়া গোল, একটি করে গোল করেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।
২৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকা বার্সা এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে রাখল। দ্বিতীয় লেগ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে যেতে পারে কাতালানদের জন্য।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে নামে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৫ ও ৭ মিনিটে ইয়ামাল ও লেভানডফস্কির দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে ঠেকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক কোবেল।
২৫ মিনিটে ডেড বল থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন রাফিনিয়া। যদিও বল বাড়িয়েছিলেন পাউ কুবারসি, রাফিনিয়া না ছুঁলেও বলটি জালে জেত। তবু পা লাগিয়ে নিজের গোল সংখ্যা বাড়ালেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড, তবে গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় এগিয়ে যায়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ৫০ মিনিটে ইয়ামালের ক্রস থেকে লেভানডফস্কির হেডে গোল হয়। ৬২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন লেভা। ৭৫ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন ইয়ামাল। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন এই তরুণ তারকা।
এই প্রশ্ন এখন বার্সাভক্ত থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্লেষকদের মধ্যেও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকা এই দল এখন আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়। দ্বিতীয় লেগে শুধু ধাক্কা না খেলেই বার্সেলোনা উঠে যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে।