বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সাবেক দুই অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলামের সম্পর্ক। আজ বিকেলে রাজধানীর ফারস্ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে অনিয়ম ও সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন তামিম। এসময় তিনি সরাসরি আমিনুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, “তিনি নাকি নির্বাচন বোঝেন না। তাহলে এমন চিঠি কীভাবে দিলেন! এই নোংরামিটা করা উচিত নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়নে সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে এবং এর দায় বর্তেছে আমিনুলের ওপর। ক্রিকেট মহলে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট যে, ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলর হিসেবে শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে জায়গা পাওয়া আমিনুল মূলত সরকারদলীয় প্রার্থী। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সমর্থনও তাঁর প্রতি রয়েছে। নির্বাচনে পরিচালক পদে জয়ী হলে তিনি বিসিবি সভাপতির প্রার্থী হিসেবেও লড়বেন বলে জোর গুঞ্জন।
অন্যদিকে, তামিম ইকবালের প্রার্থিতাকে ঘিরে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা ইতোমধ্যেই আলোচনায়। বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, তামিম বিএনপির সমর্থন নিয়েই নির্বাচন করছেন। আজকের সংবাদ সম্মেলনেও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর পদ পাওয়া বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।’ ফলে তামিমের অবস্থান নিয়ে আর কোনো সংশয় থাকছে না।
এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে দেশের ক্রিকেট নির্বাচনী বিতর্কে কেঁপে উঠছে। সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর ও বিসিবির সাবেক পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, “সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন রকম চিঠি দিয়ে বিসিবির নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, যা বিসিবির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।”