বিএনপি সংস্কারবিরোধী নয়—এটি একটি মহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের সংস্কারবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “মিডিয়ার একটি অংশ ও কিছু ব্যক্তিত্ব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। বিএনপির সংস্কার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।”
নির্বাচন বিষয়ে বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র দেখছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, “সে কথা এই মুহূর্তে বলব না। তবে যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তারা গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের পক্ষের শক্তি নয়।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, “একদিকে জনগণের আগ্রহ ও প্রত্যাশা থাকলেও, অন্যদিকে হতাশা ও উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছে, এমনকি কিছু বিষয়ে ছাড়ও দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর প্রস্তাব বদলানো বা নতুন প্রস্তাব আনার মাধ্যমে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, যা সংস্কারকে বিলম্বিত করছে।”
বিএনপি যে সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিক, তা প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০১৬ সালের ভিশন ২০৩০, ২০২০ ও ২০২২ সালের ২৭ দফা এবং পরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের গঠিত সংস্কার প্রক্রিয়াতেও বিএনপি অংশগ্রহণ করছে।”
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৮৭টিতে বিএনপি একমত, ৫টিতে আংশিক একমত এবং ৫টিতে ভিন্নমত পোষণ করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের নামে যদি সংসদ ও নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করে রাষ্ট্র কাঠামোকে দুর্বল করা হয়, সেটি কোনোভাবেই সংস্কারের উদ্দেশ্য হতে পারে না। আমরা এর যৌক্তিক বিরোধিতা করছি, যা প্রকৃতপক্ষে সংস্কারপ্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করার একটি অংশ।”