মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূমি দখলের হুমকি ঘিরে হওয়া বিতর্কের মাঝে কানাডার শাসক লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো বিজয় অর্জন করেছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে রাজনীতিতে আসা প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি, যিনি চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো সরকারপ্রধান হন, তিনি নিজেকে ট্রাম্পের হুমকির বিপরীতে কানাডার স্বার্থ রক্ষার একজন অগ্রদূত হিসেবে তুলে ধরেন। তার নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি এক সময় যে পরাজয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বিজয় অর্জন করে।
বিজয়-উত্তর ভাষণে কারনি বলেন, “এই ফলাফল আমাদের জন্য একটি সুযোগ—কানাডার পক্ষে দাঁড়ানোর এবং একটি শক্তিশালী কানাডা গড়ে তোলার।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনগুলো কঠিন হতে পারে এবং কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে, তবে আমরা শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে সেই ত্যাগ ভাগ করে নেব।”
৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্স-এ লিবারেলরা সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। হয়তো একটি ছোট দলের সহায়তায় সরকার গঠন করতে হতে পারে।
সোমবার রাতে ভোট গণনা চলাকালে সিবিসি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি কমপক্ষে ১৬৫টি আসনে এগিয়ে, যেখানে পিয়েরে পলিয়েভ্রে-এর নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি পাচ্ছে প্রায় ১৪৭টি আসন।
লিবারেলরা সর্বশেষ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল ২০১৫ সালে। ২০২১ সালে ১৬০টি আসন নিয়ে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় এবং বামপন্থী নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সমর্থনের মাধ্যমে আইন পাস করে আসছিল।
নির্বাচনের এই ফলাফল কেন্দ্র-বামপন্থী লিবারেলদের জন্য এক অভাবনীয় প্রত্যাবর্তন, কারণ জানুয়ারিতেও দলটি কনজারভেটিভদের থেকে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল জনমত জরিপে।