নাটকীয়—এই শব্দটিও যেন যথেষ্ট নয় চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপিএল শুরুটা বোঝাতে। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র এক দিন আগে মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে যায় দলটি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে যায় পুরো ম্যানেজমেন্ট। স্কোয়াডে ছিল মাত্র দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার। এতসব অনিশ্চয়তা আর ধাক্কার মধ্যেও মাঠের ক্রিকেটে দারুণ জবাব দিল চট্টগ্রাম রয়্যালস।
আজ সিলেটে বিপিএলের নিজেদের প্রথম ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬৫ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল জয় দিয়ে চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে দলটি।
ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেন ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান ৬৯ বল খেলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৮০ রান। একাদশে থাকা দুই বিদেশির একজন হয়েই দলের ব্যাটিংকে শক্ত ভিত দেন তিনি। শেষ দিকে অধিনায়ক মেহেদী হাসান ১৩ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সংগ্রহ আরও বাড়ান।
ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বোলিং ছিল চট্টগ্রামের শক্তির জায়গা, আর মাঠেও সেটির প্রমাণ মেলে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। বল হাতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেন মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ সহজ করে দেন তিনি।
নোয়াখালীর ইনিংসে শুরু থেকেই উইকেট পড়তে থাকে। ১৫ বলে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাজ সাদাকাত, খেলেন ২৭ বল। জাতীয় দলের খারাপ ফর্ম কাটাতে পারেননি জাকের আলী—১২ বলে করেন মাত্র ৬ রান।
শুধু জাকের আলী নন, নোয়াখালীর মোটে তিনজন ব্যাটসম্যানই ব্যক্তিগত সংগ্রহকে দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন। ফলে বড় রান তাড়ায় তাদের পরাজয় ছিল অবধারিত। ১৬.৫ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিনের সব নাটকীয়তা পেছনে ফেলে চট্টগ্রাম রয়্যালস বিপিএল শুরু করল সহজ ও দাপুটে জয় দিয়ে।
