প্রেমের টানে ভোলায় চীনা তরুণ চিং’পং’কং

china boy ching pong kong

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে ঘটেছে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। প্রেমিকার ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন চীনা যুবক চিংপংকং । সোমবার (১৭ নভেম্বর) শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলার খালসংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার জিন্না ডাক্তার বাড়িতে এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, ফেরদৌস আক্তার (২০) ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মো. আমানউল্লাহর সপ্তম সন্তান। আর চীনা যুবক লুইজাউ চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লুঝৌ শহরের গুলিন কাউন্টির তুচেং গ্রামের রোশেন লুন ও হুয়াং কিয়াং দম্পতির বড় ছেলে।

প্রেমিকা ফেরদৌস জানান, প্রায় এক বছর আগে ‘ওয়াল্ড টক’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে লুইজাউয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলতে বলতে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। লুইজাউ তাকে পাসপোর্ট করতে বলেন এবং জানান, তিনি বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে তাকে চীনে নিয়ে যাবেন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান লুইজাউ। সেখানে তাকে রিসিভ করেন ফেরদৌস, তার মা মরিয়ম বেগম ও দুলাভাই নুর কারিম। বিকেলে সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে তারা ভোলার উদ্দেশে রওনা দেন এবং রাত ২টার দিকে ফেরদৌসের বাড়িতে পৌঁছান।

ফেরদৌস বলেন, “আজ আমার ভালোবাসার মানুষ আমার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমি তাকে বিয়ে করব। আমি তাকে বিশ্বাস করি—সে আমাকে সুখে রাখবে।” পরিবারের সম্মতি: ‘মেয়ে সুখে থাকলেই আমাদের সুখ’

ফেরদৌসের মা মরিয়ম বেগম বলেন, “কয়েক মাস আগে মেয়ের মুখে সব শুনেছি। এখন ছেলে এসেছে, আমরা তাদের বিয়ে দেব। মেয়ে সুখে থাকলেই আমাদের সুখ। চীনা যুবকের বক্তব্য: ‘জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ফেরদৌসকে নিয়েই সংসার করব’

চিং’পং’কং জানান, তিনি দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে বড়। চীনের চেংদু শহরে পোশাক ও জুতার শোরুমের ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, “ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলে তাকে ভালোবেসেছি। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। যতদিন বাঁচব তাকে নিয়েই সংসার করব।”

ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি। পরে চীনা যুবক ও মেয়েটির পরিবারের লোকজন থানায় এসে সব জানিয়েছে। ছেলে বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে। বর্তমানে সে ওই বাড়িতেই রয়েছে।”