১০১ টাকার ইঞ্জেকশন কেনা হয় ১৩০১ টাকায়

cumilla medical college durniti

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা ও জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা ড্যাবের সভাপতি ডা. এম এম হাসান বলেন, “আমি সততায় বিশ্বাস করি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ড্যাব কুমিল্লাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখছি। কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে কেন্দ্রীয় শাখা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সকল অনিয়ম–দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

সভায় ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুর রহমান মজুমদার অভিযোগ করেন, হাসপাতালে ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। তিনি বলেন, “১০১ টাকার ইনজেকশন এখানে ১৩০১ টাকায় কেনা হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে কোনো চাঁদাবাজি বা টেন্ডার বাণিজ্য চলতে দেওয়া হবে না।”

ড্যাব কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার বলেন, “অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের চিকিৎসক সিন্ডিকেটই করে থাকে। এ কারণে গরিব রোগীরা বঞ্চিত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ সংকট দেখা দেয়। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।”

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক বলেন, কেন্দ্রীয় ড্যাবে কুমিল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ পৌঁছেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ড্যাবের ফান্ড রাইজের নামে কোনো টাকা তোলা যাবে না। আমার জানা ছাড়া কেউ করলে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডা. মাসুম ইমরান, ডা. নাসিম রেজা, ডা. এনামুল হক, ফারহানা বেগম রুমা, ডা. গোলাম মাহবুব শিকদার, ডা. কামরুজ্জামান খোকন, ডা. হেলালুর রহমান, ডা. সজিবুর রশিদ, ডা. কাউসার আহমেদ, ডা. মিয়া মঞ্জুর, ডা. আবুল হাসান সৈকত, ডা. রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, “এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।”