মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জমে উঠেছিল ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে আড্ডা আর শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন। আয়োজনটি ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচনকে ঘিরে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও হাজির হন ভোট দিতে। সাদা পাঞ্জাবিতে উপস্থিত হওয়া তামিমকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই ছিল বাড়তি কৌতূহল। কারণ আগামী মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর আগে শোনা গিয়েছিল কোয়াবের সভাপতি পদেও লড়তে পারেন তামিম।
তবে শেষ পর্যন্ত কোয়াবের নির্বাচনে দাঁড়াননি তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তামিম বলেন, ‘আপনারাও জানেন আমি কী কারণে (কোয়াব নির্বাচনে) আসিনি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।’ তাঁর ইঙ্গিত ছিল বিসিবি নির্বাচনের দিকেই। বিসিবির পরিচালক বা সভাপতি নির্বাচিত হলে স্বার্থের সংঘাতের কারণে কোয়াবের দায়িত্বে থাকা সম্ভব হতো না তাঁর।
কোয়াবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কেবল সভাপতি পদে। লড়াই করছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। বাকি ১০টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।
গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কোয়াব সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল পদত্যাগ করেন। পরে সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যার তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে এবারের নির্বাচন।
তামিম বিশ্বাস করেন, কোয়াবের কার্যক্রমে কিছু ঘাটতি থাকলেও নতুন কমিটি তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক কিছু আছে যা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচনটা হয়ে যাওয়া। এখন কমিটির হাতে দুই বছরের সময় থাকবে। এর মধ্যে সবকিছু সিস্টেমেটিকভাবে গুছিয়ে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত খুব ভালো লাগছে।’