ইউনূসের ক্ষমতার প্রয়োজন নেই কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে

dr yunus bangladesh needs not power

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শুক্রবার (২৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের ক্ষমতার প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তাঁর প্রয়োজন রয়েছে।”

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, “বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস অপরিহার্য। ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল করতে হবে, সরকারকে কার্যকরভাবে কাজ করতে হবে এবং উপদেষ্টাদের ভূমিকাও আরও সক্রিয় হতে হবে। জনতার সামনে দৃশ্যমান অগ্রগতি উপস্থাপন করতে হবে। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে প্রফেসর ইউনূস জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে সাফল্য দেখিয়েছেন।”

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. ইউনূসের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা রক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করে ফয়েজ বলেন, “এটা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”

তিনি আরও বলেন, “এখন থেকে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনা করতে হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত নিতে হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।”

সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। সেনাপ্রধানের নির্বাচন সংক্রান্ত মন্তব্যে জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস বজায় রাখা হয়নি। তবে সেনাবাহিনীকে যথাযথ সম্মান ও আস্থায় রাখতে হবে। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।”

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ফয়েজ বলেন, “ইনক্লুসিভনেসের নামে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক, এটি কেউ ভঙ্গ করবে না।”

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সকল দরকারি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।” একইসাথে তিনি জানান, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে এবং আগস্টের মধ্যেই “স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়” প্রকাশের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।