ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর যমুনা রাষ্ট্রীয় বাসভবনে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
তিনি জানান, নির্বাচনে পোস্টাল ভোটের জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে ৭২ ঘণ্টার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রেসসচিব আরও বলেন, “যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও ডিজইনফরমেশন রোধে দুটি কমিটি গঠন করা হবে এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করা হবে।”
তিনি জানান, ভোট নিরাপত্তায় সাড়ে ৯২ হাজার সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য কাজ করবেন—এর মধ্যে ৯০ হাজার সেনা সদস্য এবং বাকিরা নৌবাহিনীর। সবচেয়ে বেশি দায়িত্বে থাকবেন আনসার সদস্যরা। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকবে বডি ক্যামেরা।
প্রেসসচিব বলেন, “নির্বাচন বানচালের যেকোনো চেষ্টা রুখে দিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের তিন নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, এবার তাদের নির্বাচন কর্মকর্তা করা হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “একবিংশ শতকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি নেই, সেটা জাতিসংঘের প্রতিতবেদনেই উল্লেখ রয়েছে। কেউ কোনো অপকর্ম করে পার পাবে না। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য।”
সবশেষে শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সব প্রস্তুতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।”
