নির্বাচনে ‘শাপলা’ ফুলকে দলীয় প্রতীক হিসেবে অনুমোদন না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ ব্যবহার করতে পারবে না।
বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এক সাক্ষাৎকারে জানান, জাতীয় ফুল ‘শাপলা’কে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত করা হবে না—এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, “জাতীয় প্রতীক ও পতাকার মর্যাদা রক্ষার্থে আইন রয়েছে। যদিও জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে আইন নেই, কিন্তু সম্মানজনক অবস্থান বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যারা গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নিয়ে গঠিত, তারা দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এবং প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রেখেছে। অন্যদিকে, নাগরিক ঐক্য ইতোমধ্যে দল হিসেবে নিবন্ধন পেলেও প্রতীক হিসেবে পেয়েছে ‘কেটলি’, এবং তারা সেই প্রতীক পরিবর্তনের জন্য নতুনভাবে ‘শাপলা’ দাবি করেছে।
গত ২ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা যখন নিবন্ধন পাই, তখন ইচ্ছেমতো প্রতীক পাইনি। গত ১৭ জুন আমরা প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করেছি এবং পছন্দক্রমে ‘শাপলা’ ও ‘দোয়েল’ চেয়েছি।”
বর্তমানে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে ৬৯টি প্রতীক রয়েছে। তবে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসি প্রতীকের সংখ্যা ১০০-এর বেশি করার পরিকল্পনা করছে। নতুন প্রতীক তালিকার খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে বলে ইসির একটি সূত্র জানিয়েছে।