প্রধান উপদেষ্টা: মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে

eid e miladunnabi message dr yunus

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্ট অনুসরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি দিন। এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন, অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত। আল্লাহর নির্দেশে তিনি মানবজাতিকে অন্যায়, অন্ধকার ও পাপাচার থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। কুরআনে মহানবী (সা.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া: ১০৭)।

মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল আলোর প্রদীপ ‘সিরাজাম মুনিরা’। তিনি দাসত্ব, অবিচার ও কুসংস্কারের শৃঙ্খল ভেঙে শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের বার্তা প্রচার করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহানবীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দয়া, মহত্ত্ব এবং আল্লাহর প্রতি অসীম ভালোবাসা কুরআনে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ তথা সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীতে মানুষের জন্য মুক্তির পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।

শেষে তিনি দোয়া করে বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক। মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হোক।