বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সড়কে অবস্থান এবং সম্ভাব্য যানজটের আশঙ্কায় বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এই অস্থায়ী অনুমতির মাধ্যমে উড়ালসড়ক ব্যবহারের সুযোগ পায় প্রায় ৩ হাজার দুই ও তিন চাকার যানবাহন। তাদের কাছ থেকে ২০ টাকা হারে মোট ৬০ হাজার টাকা টোল আদায় করেছে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।
কোম্পানির অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান জানিয়েছেন, “এ সময় ৯০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল, অটোরিকশার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। তবে টোল আদায়ে কড়াকড়ি না থাকায় অনেক মোটরসাইকেল বিনা টোলে চলে গেছে। তাই প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।”
প্রতিবেদক বেলা সাড়ে ১১টায় কুড়িল টোল প্লাজায় গিয়ে দেখেন, টোল নেওয়া হচ্ছে হাতে হাতে, কিন্তু দেওয়া হয়নি কোনো রসিদ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার গতকাল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) কাছে এই অনুমতির অনুরোধ করেন, যা পেয়ে এফডিইই সীমিত সময়ের জন্য যান চলাচলের অনুমতি দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে চালু হওয়ার পর থেকেই দুই ও তিন চাকার যানবাহনের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তা ও যানজটের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এক সপ্তাহের মতো সময় মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহনের চলাচল খুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন কোনো টোল আদায় হয়নি।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। এটি কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে, যেখান থেকে আদায় হয় গড়ে ৫৫ লাখ টাকার বেশি টোল।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে ট্রাফিক ও নগর পরিকল্পনাবিদদের মধ্যে।