সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়—”মবের শিকার ভোক্তা অধিকার এর কর্মকর্তা আবদুল জব্বার মন্ডল!”।
তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই দাবিটি ভুয়া। ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি আসলে আবদুল জব্বার মন্ডল নন; তিনি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাশ ওরফে রানা।

১৩ মে রাতে সিলেটের রিকাবীবাজার এলাকায় একদল জনতা নির্মলেন্দু দাশকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার ভিডিওটি সাংবাদিক পরিচয়ধারী Murad Ahmed নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করা হয়। সেখান থেকেই ভিডিওর অংশবিশেষ কেটে ভুল তথ্যসহ ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রথম আলো ও ইনকিলাবসহ জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—হেনস্থার শিকার ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ, যিনি নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও।

এ ঘটনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিংবা আবদুল জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হামলার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল নিজেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন: “সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এটি একটি Fake News। এই ভিডিওর সাথে আমার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।”