পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো সংসদে সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকার অভিবাসীদের জন্য পরিবার পুনর্মিলনের (Family Reunification) সুযোগ বন্ধ করতে চায় না, বরং বর্তমান ব্যবস্থার ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়।
এই মন্তব্যটি তিনি করেছেন প্রথম দফার প্রশ্নোত্তর পর্বে, যেখানে চেগা দলের নেতা আন্দ্রে ভেন্টুরা সরাসরি জানতে চান—সরকার কি পরিবার পুনর্মিলনের সুযোগ বন্ধ বা স্থগিত করবে কিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভালোভাবে সংহত অভিবাসী পরিবার এবং অভিবাসী শিক্ষার্থীরা দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের জন্য উপকারী। সমস্যা সেখানেই যখন অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন হয় এবং আইন প্রয়োগে ঘাটতি থাকে।”
তিনি আরও জানান, সরকার নাগরিকত্ব আইন ও বিদেশিদের সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, যাতে অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও নিয়ন্ত্রিত করা যায়।
চেগা দলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চেগা ইতিপূর্বে বিদেশি ও সীমান্ত ইউনিট গঠনে এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা তাদের এই ভুল সংশোধনের একটি দ্বিতীয় সুযোগ দেব।”
চেগা দলের সভাপতি আন্দ্রে ভেন্টুরা সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “আপনারা বলছেন নিয়ন্ত্রণ করবেন, কিন্তু বাস্তবে কী করবেন? অস্ট্রিয়ার মতো পরিবার পুনর্মিলন স্থগিত করবেন, নাকি শুধু নাটক করবেন?”
ভেন্টুরা আরও অভিযোগ করেন, “আজকের এই অভিবাসন সংকট পুরনো নীতির ব্যর্থতার ফল। এখন যদি সত্যিই কিছু করতে চান, তাহলে পরিবার পুনর্মিলনের সুযোগ স্থগিত না করে শুধু কথা বললে হবে না।”
সরকারের অবস্থান হলো—পরিবার পুনর্মিলন পুরোপুরি বন্ধ নয়, তবে নিয়ম আরও কঠোর করা হবে যেন অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আসে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বারবার উল্লেখ করেন, “অবৈধ অভিবাসন নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত, সুশৃঙ্খল অভিবাসনই দেশের উন্নয়নের জন্য সহায়ক”।