মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জিএম প্লাজা শপিং সেন্টারে যৌথ অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১২৪ প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে সহায়তা করে মালয়েশিয়া কোম্পানি কমিশন (SSM), ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় (KPDNKL) এবং কুয়ালালামপুর সিটি হল (DBKL)। হঠাৎ অভিযানে দোকান ও বাজার এলাকায় তৈরি হয় চাঞ্চল্য। বহু বিদেশি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন কেউ দোকানের ভেতরে লুকিয়ে পড়েন, আবার কেউ গ্রাহক সেজে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করেন। কর্তৃপক্ষ জানায়, জরুরি সিঁড়ি ও লিফট দিয়ে পালানোর চেষ্টাও ধরা পড়ে।
অভিযানে পাকিস্তানি নাগরিক মুনির (৪৭)কে আটক করা হয়। তিনি ইউএন কার্ড দেখালেও তা গত বছরের অক্টোবরেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তিনি জানান, ছয় বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছেন, পরিবারে আট সদস্য এবং তিনি কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ ছাড়া বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তিন মাস আগে এজেন্টের মাধ্যমে ৬ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে মালয়েশিয়ায় আসা মিয়ানমারের ২২ বছর বয়সী কামিদকেও আটক করা হয়। তিনি এখনো কাজ পাননি বলে জানান।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সাওপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, মোট ২০৫ জনকে তল্লাশি করা হয়, যার মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ১২৪ জনকে অবৈধ প্রবাসী হিসেবে আটক করা হয়েছে। তবে কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন তা জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ, বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভ্রমণ নথি না থাকা—যা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ৬(১)(সি) ও ১৫(১)(সি) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযানে DBKL ছয়টি কম্পাউন্ড ইস্যু করে এবং লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা ও বিদেশি শ্রমিক রাখার দায়ে একটি দোকানকে বন্ধের নোটিশ দেয়। আটক প্রবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জালান দুতা ইমিগ্রেশন অফিসে নেয়া হয়েছে।
