গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আয়োজিত একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা, হামলা ও প্রাণহানির ঘটনার পর জেলাজুড়ে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কারফিউ চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বিকেলে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ চলাকালে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সমাবেশ শেষে এনসিপি নেতারা বের হলে দ্বিতীয় দফা হামলার শিকার হন তারা। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র। আহত হয়েছেন আরও অনেকে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
“জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা।
এদিকে সমাবেশে হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন,
“আওয়ামী লীগের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই।”
এনসিপি এবং সরকার সমর্থকদের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ টহল চলছে।