পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ (বুধবার) মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো মুসল্লি ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে রওনা হয়েছেন প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরের পবিত্র মিনা উপত্যকার উদ্দেশে।
এরইমধ্যে মিনায় পৌঁছেছেন চার লক্ষাধিক হজযাত্রী। চারদিকে ধ্বনিত হচ্ছে তৌহিদের জয়গান—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’। এই ধ্বনি গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো মিনা, যা হজের পবিত্র পরিবেশকে আরও গভীর করে তুলেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত থেকে মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা। আজ দিনভর তারা মিনায় অবস্থান করবেন এবং রাতযাপন শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে।
হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে হাজিরা যাবেন মুজদালিফায়, যেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় ফিরে এসে বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কুরবানি এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় ফিরে কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। পরে আবার মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ—এই দুই দিনে তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ি তাওয়াফের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিচ্ছেন। সৌদি সরকার তাদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি, মোতায়েন করা হয়েছে হাজারো কর্মী, চিকিৎসা দল এবং নিরাপত্তা বাহিনী।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, আত্মত্যাগ ও খোদাভীতির অনন্য নিদর্শন। এই পবিত্র ইবাদতের মাধ্যমে মুসল্লিরা আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভের জন্য আল্লাহর দরবারে মাথা নত করেন।