চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসকে কালোতালিকাভুক্ত করল সৌদি সরকার, দুর্ভোগে ১ হাজারের বেশি হজযাত্রী

challenger travels blacklisted hajj rent irregularities

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস নামের একটি লিড হজ এজেন্সিকে কালোতালিকাভুক্ত করেছে। অভিযোগ, মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য যথাযথভাবে বাড়িভাড়া না করা এবং একটি বাড়ি দেখিয়ে অন্য বাড়িতে হজযাত্রীদের রাখার মতো গুরুতর অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি জড়িত। চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের অধীন ১৬টি হজ এজেন্সির মোট ১,০১৮ জন হজযাত্রী রয়েছেন, যাদের অনেকেই ইতিমধ্যে মক্কায় পৌঁছেছেন।

গতকাল রোববার রাতে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাসান আল মনোয়ার এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন।

সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের মোনাজ্জেমের পাসপোর্ট জব্দ, ভিসা বাতিল এবং সৌদিতে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির অধীন হজযাত্রীদের হজ কার্যক্রমে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সৌদি উপমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল সভায় জানান, প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার কাগজপত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। অনেকের জন্য বাড়ি ভাড়া না করেই কাগজে ভাড়া দেখানো হয়েছে কিংবা এক বাড়ি দেখিয়ে অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে। এ কারণে তাদের মিনার কার্ড আপাতত অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের মালিক ও হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারোয়ার দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়নি, বরং হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অধীন “ইউসূফ এয়ার” নামের একটি সহযোগী এজেন্সির ৩৫ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়ায় অনিয়ম হয়েছে। এই দায় আমাদের ওপর পড়েছে।’

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসকে কালোতালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং এজেন্সিটির অধীন ১৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে একটি ব্যাখ্যামূলক চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, ‘চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখন বিষয়টির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজযাত্রী হজে যাচ্ছেন, যার মধ্যে ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৫,২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন। ৭০টি লিড এজেন্সির অধীনে এই কার্যক্রম চলছে। হজযাত্রা শুরু হয়েছে গত ২৯ এপ্রিল থেকে।