এইচএসসি ফল পুনঃনিরীক্ষণে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন, ইংরেজি ও আইসিটিতে বেশি চ্যালেঞ্জ

hsc result re scrutiny record application

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে এবার রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে আবেদন সবচেয়ে বেশি, আর বরিশাল বোর্ডে সবচেয়ে কম। বিশেষ করে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বেশি করেছেন।

গত ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশের পরদিন (১৭ অক্টোবর) থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করার সুযোগ পান।

বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগের বছরগুলোর মতো এবারও ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কারণ, এই দুই বিষয়ে লেখনিভিত্তিক প্রশ্নের পাশাপাশি ধাপে ধাপে মার্কিং পদ্ধতির কারণে ভুল বা নম্বর অসঙ্গতির আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি থাকে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণে খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং গণনাগত বা ট্যাবুলেশনভিত্তিক ভুল আছে কি না, সেটি যাচাই করা হয়।

ঢাকা বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান—

“প্রশ্নভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, ট্যাবুলেশন শিটে সঠিকভাবে স্থানান্তর হয়েছে কি না, এবং কোনো উত্তরপত্র বাদ পড়েছে কি না—এসব যাচাই করা হয়। ভুল পেলে তা সংশোধন করা হয়, তবে নতুন মার্কিং করা হয় না।”

তিনি আরও বলেন,

“ফল পুনঃনিরীক্ষণের পর শিক্ষার্থীর নম্বর কখনো কমানো হয় না। ভুল পাওয়া গেলে নম্বর বাড়ানো হয়। তাই আবেদনকারীদের কোনো ঝুঁকি থাকে না।”

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন,

“আমরা ফল বানাইনি, বাস্তব চিত্রটাই সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীরা এখন টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে—অভিভাবকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।”

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন,

“বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। ফল পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীর মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে এবং বোর্ডের ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে।”