ভারত ভোররাত ৩:৩০টায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তিনটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামের পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি।
পাকিস্তানের আইএসপিআর এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভারতের লক্ষ্য ছিল চকলালা’র নূর খান এয়ার বেস, চকওয়ালের মুরিদ এবং শোরকোটের রফিকি এয়ার বেস। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, বিমান বাহিনীর সব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নিরাপদ রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “ভারত গোটা অঞ্চলকে যুদ্ধে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, ভারতের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান সকাল ৪:৩৮টায় পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে এবং সকাল ৫:৫২টায় ভারতের বিয়াস অঞ্চলে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পিটিভি।
পিটিভি ও রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চলছে। এর মধ্যে জম্মুর উধমপুর এয়ারবেস ও পাঠানকোটের একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল আলিম খান এক্স-এ লিখেছেন, “দীর্ঘজীবী হোক পাকিস্তান — আল্লাহ আমাদের শিকারি বাজদের হেফাজত করুন।”
পিপিপি সিনেটর শেরি রেহমান জানান, “ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান কেবল সামরিক লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে, যা কৌশলগত সংযমের প্রমাণ।”
পিটিভি আরও জানায়, পাকিস্তানি ড্রোন ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশে সক্রিয় এবং আদামপুরে ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন সরকারি ও সামরিক সংস্থা যেমন বিজেপি, বিএসএফ, UIDAI সহ কয়েক হাজার সাইট হ্যাক করা হয়েছে এবং নজরদারির জন্য ব্যবহৃত ২,৫০০ ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক ডার জিও নিউজকে বলেন, “ভারতের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে আমরা বাধ্য হয়েছি। এই যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে, তা নির্ভর করছে ভারতের উপর।”