বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত হুড়োহুড়ির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।
পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’-এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সকলের দোয়া কামনা করছি।
তিনি জানান, নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
ইশরাক হোসেন লেখেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছিল—প্রোটোকল অনুসারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির দুই পাশে নবগঠিত প্রজন্ম কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব অবস্থান করবেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে। তবে নেতাকর্মীদের ব্যাপক আগ্রহ ও বিপুল জনসমাগমের কারণে সিরিয়াল ঠিক করতে গিয়ে তাকে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আহ্বায়ক হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা এবং তাঁদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব। এ কারণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে কেউ মনোকষ্ট পেয়ে থাকলে, তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
পোস্টে ইশরাক হোসেন আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ সংগঠনের ওপর গুরুদায়িত্ব বর্তেছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা, অন্যদিকে যারা এখনও মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হৃদয় থেকে মেনে নিতে পারেনি—তাদের অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করা জরুরি।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে লেখেন, ‘কালের পরিক্রমায় সত্য প্রকাশ পাবেই এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’
