প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজখবর গ্রহণ

khaleda zia health update yunus

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।

হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার।

প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান। চিকিৎসক দল তার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই, জনস হপকিন্স, যুক্তরাজ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করার আহ্বান জানান। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানোর পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি তাকে খালেদা জিয়ার কক্ষে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার।

এর আগে মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে এবং পরে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছে।

এদিকে, এভারকেয়ার হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের সামনের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে এবং এসএসএফের বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।