যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অবস্থান নিয়ে দেওয়া এক মন্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার পর সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এতে অনিচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল (১১ জুন) লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শফিকুল আলম বলেন, “গতকাল প্রেস কনফারেন্সে আমি বলেছিলাম একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য আমাদের জানিয়েছেন যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সম্ভবত কানাডায় রয়েছেন। আমি ‘সম্ভবত’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম, কিন্তু এরপরও এটি একটি ভুল হয়েছে। পরে আমরা নিশ্চিত হওয়ার পরই তা সংশোধন করেছি। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এখনো যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আজ ব্রিটেনে বাজেট স্পেন্ডিং রিভিউ চলছে। কীভাবে বাজেট ব্যয় হচ্ছে, সে বিষয়েই পার্লামেন্ট ব্যস্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও এতে অংশ নিচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেছিলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কিয়ার স্টারমারের একটি বৈঠক চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। আজ এক ব্রিটিশ এমপি আমাদের এ তথ্য দিয়েছেন।”
এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিশ্চিত না হয়ে এমন মন্তব্য কীভাবে করা হলো।
তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘দ্য টাইমস’-এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গতকাল (১১ জুন) পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন এবং সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একই দিনে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস লেবার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
‘দ্য টাইমস’ আরও জানায়, কিয়ার স্টারমার আগামী ১৪ জুন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন এবং ১৫ জুন আলবার্টায় অনুষ্ঠেয় জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেবেন।