মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জোরালো সংস্কারের দাবি উঠেছে। নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলো বলছে, জোরপূর্বক শ্রম, শোষণ ও মানবপাচার রোধে নতুন নীতিমালা এখন সময়ের দাবি।
নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড্রিয়ান পেরেইরা বলেন, “বিদেশি শ্রমিকদের শোষণ করে ব্যবসা পরিচালনা করা অনৈতিক। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পূর্ণ দায়িত্ব মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে হবে, কারণ বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণে নানা অসঙ্গতি ও জবাবদিহিতার অভাব দেখা দিচ্ছে।
পেরেইরা জোর দিয়ে বলেন, “নিয়োগ ব্যবস্থায় এমন সংস্কার আনতে হবে যাতে কোনো সিন্ডিকেট বা পাচার চক্র যুক্ত হতে না পারে।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ২০২৫ সালের ‘ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (TIP)’ প্রতিবেদনে মালয়েশিয়া টিয়ার–২ অবস্থান ধরে রেখেছে। যদিও এতে কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে, তবুও মানবপাচার রোধে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানবাধিকারকর্মী গ্লোরিন দে সুজা বলেন, “আন্তঃসংস্থার জবাবদিহিতা ও প্রকৃত ভুক্তভোগীকেন্দ্রিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। কাঠামো থাকলেও প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা এখন সবচেয়ে জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “লক্ষ্য হওয়া উচিত, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রত্যেক মানুষ—তার অবস্থান যাই হোক না কেন—পাচার ও শোষণ থেকে সুরক্ষা পাবে।”
গ্লোরিন দে সুজা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এন্টি–ট্র্যাফিকিং কাউন্সিল এবং এনজিওগুলোর যৌথ প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেন। তার মতে, সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক অংশীদার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার হচ্ছে, যা ইতিবাচক অগ্রগতি নির্দেশ করে।
