মিরাজের জাদুতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ ১–১ এ

Bangladesh 2nd test win

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ এক বিরল কীর্তির সাক্ষী হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল মেহেদী হাসান মিরাজ সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়ে দলকে এনে দিলেন ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয়, যা সিরিজ সমতায় আনলো ১–১ এ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হারার পর এই জয় ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং মর্যাদার লড়াইও বটে। আর সেই লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশ দলের হয়ে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের কীর্তি আছে শুধু সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর — এবার তাদের পাশে যুক্ত হলো মিরাজের নাম।

তবে এখানেই থামেননি এই অলরাউন্ডার। আজকের ম্যাচ শেষে তিনি যোগ দিয়েছেন আরেক অভিজাত তালিকায় — টেস্টে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল সম্পূর্ণ করেছেন মাত্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে। বিশ্বের মধ্যে এটি ২৬তম অর্জন।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ২১৭ রানের লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে টিকতেই পারেনি। পুরো দল অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। স্পিন-বান্ধব উইকেটে তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও মিরাজের স্পিন ত্রয়ীর সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেননি সফরকারীরা।

মিরাজ একাই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট, যার মধ্যে ছিল জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এছাড়া তাইজুল নেন ৩ উইকেট এবং নাঈম ১টি। শেষ উইকেটটি আসে রানআউটে।

মিরাজের সেঞ্চুরিটি ছিল একদম নাটকীয়। ৯৯ রানে নন–স্ট্রাইকে থাকা অবস্থায় ইনিংসের শেষ উইকেটে হাসান মাহমুদের দৃঢ়তায় সেঞ্চুরির সুযোগ পান তিনি। হাসান ঠেকিয়ে দেন পাঁচটি বল, আর ষষ্ঠ বলে স্ট্রাইক পেয়ে শতকের স্বাদ নেন মিরাজ — এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, প্রথমটি এসেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, এই চট্টগ্রামেই।

তাইজুল ও তানজিমের সঙ্গে গড়া দুটি বড় জুটি বাংলাদেশকে ৪০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে সহায়তা করে, যা দেশের মাটিতে প্রায় দুই বছর ও ১৫ ইনিংস পর।