এনবিআর প্রধান কার্যালয়ে অননুমোদিত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, উত্তপ্ত আন্দোলন চরমে

Ban on unauthorized entry to NBR head office

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার একপ্রকার অলিখিত অবরোধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এনবিআর ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থান কার্যত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রধান গেট বন্ধ করে রেখেছেন, ফলে সেবা প্রত্যাশী থেকে শুরু করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারাও প্রবেশ করতে পারছেন না।

এনবিআরের সদস্য খালিদ আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।”

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার অভিযোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। তারপরও আমাদের নিজ অফিসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আলোচনার বিষয়ে আমরা কখনোই পিছপা হইনি, কিন্তু আজকের আলোচনায় আমাদের ডাকা হয়নি।”

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ ২৬ জুন বিকেল ৫টায় কর ও কাস্টমস ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, আলোচনায় যাদের ডাকা হয়েছে তারা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং বরং আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টাকারী।

তারা আরও জানিয়েছে, পূর্বের এক আলোচনায় (২০ মে) তাদের মাত্র ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আলোচনাকে ফলপ্রসূ বলা হলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল তার বিপরীত।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ২৮ জুন থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরিষদ জানায়, সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার শুরু হবে বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের মধ্য দিয়ে—এর আগে কোনো আলোচনা নয়।

সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে বিভক্ত করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর পরপরই এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা আন্দোলনে নামেন। কিছুটা বিরতির পর ২৩ জুন থেকে ফের কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। আজও ঢাকাসহ সারাদেশে এসব কর্মসূচি চলছে।

অর্থ উপদেষ্টা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দপ্তরে ফিরে গিয়ে রাজস্ব আহরণে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনরতরা তা মানেননি। তাঁদের দাবি, অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে এনবিআরের অস্থিরতা রাজস্ব আদায়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।