মাত্র দু’দিনের বিক্ষোভেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। সোমবার হেলিকপ্টারে কাঠমুন্ডু ত্যাগ করেছেন তিনি। তবে তাঁর গন্তব্য কোথায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেনারেশন জি (Gen Z) নামের তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন, আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বাসভবনসহ সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালান।
প্রথম দিনের সহিংসতায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই সরকারের ভেতরে টানাপোড়েন শুরু হয়। কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলে চাপ বাড়তে থাকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। অবশেষে ব্যাপক অরাজকতা ও জনঅসন্তোষের মুখে পদত্যাগ করেন অলি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে অলি কাঠমুন্ডুতে একটি হেলিকপ্টারে ওঠেন। অন্যদিকে কাঠমুন্ডু পোস্ট জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামরিক ব্যারাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তার জন্য।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ওলির সমর্থনভিত্তি প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাঁর বাড়ি পর্যন্ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি নিজ দলের নেতারাও সুযোগ বুঝে তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
ফলে প্রশ্ন উঠেছে—ওলি এখন কোথায় যাবেন? তিনি দেশ ছাড়লে কোন দেশে আশ্রয় চাইতে পারেন তা নিয়েও চলছে জল্পনা। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে, নেপালের রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল আকার নিতে যাচ্ছে।