আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও কমলো

Oil prices fall in the world market

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা হ্রাস এবং ওপেকভুক্ত দেশগুলোর তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমে গেছে। সোমবার (৩০ জুন) দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ১ শতাংশ হারে কমে যায়।

আগস্ট মাসের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৬ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ১১ ডলারে। সেপ্টেম্বর মাসের জন্য এই দাম আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৯৭ ডলারে, যা পূর্বের তুলনায় ৮৩ সেন্ট কম। একই সময়, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৪ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৮ ডলারে।

গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের পতন দেখা যায়, যা ছিল ২০২৩ সালের মার্চের পর সবচেয়ে বড় দরপতন। তবে পুরো জুন মাসজুড়ে গড় হিসেবে তেলের দাম ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার জেরে তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয় এবং বাজারে দামের অস্থিরতা কমে আসে।

আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, “ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ফলে বাজারে আতঙ্কজনিত যে বাড়তি দাম ছিল, তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে।”

অন্যদিকে, ওপেক ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে তারা প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। মে, জুন এবং জুলাই মাসেও একই হারে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই ওপেকের একটি বৈঠকে পঞ্চম দফায় উৎপাদন বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল খনির সংখ্যা আরও ছয়টি কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৩২-এ, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন। তথ্যটি প্রকাশ করেছে খনিজ খাতভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজ।