হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

Police clash with protesters in Habiganj

হবিগঞ্জে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল পৌনে ২টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জেলা শহরের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সংঘর্ষে যোগ দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে দুপুর দেড়টায় জড়ো হন। পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্যও সেখানে অবস্থানে ছিল। হঠাৎ শায়েস্তানগরের দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দিয়ে এসে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা টাউন হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ সময় পাশেই তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়ানো হয়। হবিগঞ্জ সদর লাখাই আসনের সংসদ সসদ্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহির-এর বাসা ভাঙচুর করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সংঘর্ষ হবিগঞ্জ বিদ্যুত অফিসের কর্মী মোস্তাকিম নামে একজন নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের আরএমও মমিন উদ্দিন চৌধুরী। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।