পর্তুগালে ৭২ প্রবাসীর রেসিডেন্স পারমিট বাতিল

AIMA reject Bangladeshi immigration application

৩৩ বছর বয়সী এম.কে. নামের ওই অভিবাসী ২০১৯ সাল থেকে পর্তুগালে কাজ করছেন এবং নিয়মিত সামাজিক নিরাপত্তা (Social Security) অবদান দিয়ে আসছেন। লিসবনের আশপাশে স্ত্রী (৩৭) ও দুই সন্তান (৭ ও ৮ বছর) নিয়ে বসবাস করা এম.কে. বর্তমানে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নোটিশ পেয়েছেন।

আইনজীবী তুলিও মাচাদো আরাউজো জানিয়েছেন, এম.কে. মনে করেছিলেন ২০১৯ সালে যাদের মাধ্যমে তিনি পর্তুগালে আসেন, তারাই সব বৈধ কাগজপত্র ঠিক করে দিয়েছেন। তবে পরে জানতে পারেন কিছু কোম্পানির সামাজিক নিরাপত্তা রেকর্ডে অনিয়ম থাকায় তার রেসিডেন্স পারমিট বাতিল হয়েছে।

এআইএমএ (Agency for Integration, Migration and Asylum) জানিয়েছে, ভুয়া রেসিডেন্স সার্টিফিকেট ব্যবহার করে বৈধকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ কারণে ৭২ জন বিদেশির রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, মিসর ও মরক্কোর নাগরিক রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগ লিসবন মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাস করেন।

এএমআইএ আরও বলেছে, মামলার প্রকৃতি বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাই অভিবাসীদের প্রাথমিক শুনানি ছাড়াই পারমিট বাতিল করা হয়েছে। ফলে এম.কে.-এর মতো প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় ২০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন। না হলে তাদের আটক করে জোরপূর্বক বহিষ্কার করা হবে।

তবে আইনজীবীর দাবি, এম.কে.-এর সন্তানরা বর্তমানে স্কুলে পড়াশোনা করছে। তাই নোটিশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হবে।

এ ঘটনায় এএমআইএ-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন আদালতে মামলা প্রমাণিত হওয়ার আগেই ৭২ জনের রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করা হলো—সে বিষয়ে এখনও সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা মেলেনি।