গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছে দেশটির ডানপন্থি জোট অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট। ঘোষিত ২২৬টি আসনের মধ্যে ৭৯টি আসন নিয়ে তারা এ জয় নিশ্চিত করেছে।
দেশটির ১৬তম জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। অগ্রিম ভোটসহ মোট ভোটগ্রহণের হার ছিল ৬৬% শতাংশেরও বেশি। পর্তুগিজদের পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পর্তুগিজ নাগরিকরাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি ৭৭টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কট্টর ডানপন্থি দল শেগা ৪৮টি আসন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তৃতীয় শক্তি হিসেবে জাতীয় সংসদে তাদের অবস্থান বজায় রেখেছে।
নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল শেগা দলের রেকর্ডসংখ্যক ৪৮টি আসন প্রাপ্তি। আগের নির্বাচনে মাত্র ১২টি আসন পেলেও এবার তারা উল্লেখযোগ্যভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এছাড়া বামপন্থি লিবরে পার্টি তাদের আসন সংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ৪টি করেছে।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সোশ্যালিস্ট পার্টি তাদের পরাজয় স্বীকার করে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পেদ্রো নুনো সান্তোষ বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানান এবং বিরোধী দল হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “যেসব নাগরিক আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছে, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।”
অন্যদিকে, বিজয়ী অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেটের নেতা লুইস মন্টিনিগ্রো বলেন, “পর্তুগিজরা পরিবর্তন চেয়েছে এবং পরিবর্তনের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। জাতীয় সংসদে সব দলের মতামত ও সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। আমরা আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
নির্বাচনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায়, কয়েক দিনের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবেন এবং সরকার গঠন করবেন। আশা করা যাচ্ছে, চলতি মাসের শেষ বা এপ্রিলের শুরুতেই নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।