পর্তুগালের বিচারকদের সংগঠন ASJP (Associação Sindical dos Juízes Portugueses) লিসবনের আপিল আদালতের “অসহনীয় পরিস্থিতি” নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি স্পষ্টভাবে এর দায় দিয়েছে AIMA (Agency for Integration, Migrations and Asylum)–এর অদক্ষতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার ওপর।
ASJP জানায়, AIMA–এর কার্যক্রমে উদ্ভূত দশ–দশ হাজার মামলা আদালতে জমে থেকে বিচারপ্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে। এই সংস্থাটির মৌলিক প্রশাসনিক কাজ সম্পন্নে অক্ষমতা এবং সাধারণ সাক্ষাৎকার বা সময় নির্ধারণের অদক্ষতার কারণে মানুষ বাধ্য হচ্ছে আদালতের দ্বারস্থ হতে।
সংগঠনটির মতে, এই ধরনের মামলা অনেকটাই ‘কৃত্রিম’ বা অপ্রয়োজনীয়, যা কেবল AIMA–এর ব্যর্থতার ফলাফল।
ASJP ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পর্তুগালের রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক উপমন্ত্রী গনসালো মাতিয়াস (Gonçalo Matias) এবং প্রেসিডেন্সি মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাও আমারো (António Leitão Amaro)–এর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে তারা লিসবনের প্রশাসনিক আদালতে (TACL) সৃষ্ট “অসহনীয় পরিস্থিতির” দ্রুত সমাধানের দাবি জানায়, যেখানে AIMA–এর ব্যাকলগ বা জটের বেশিরভাগ মামলাই জমে আছে।
গনসালো মাতিয়াসকে পাঠানো চিঠিতে ASJP উল্লেখ করে, আদালতের ওপর অতিরিক্ত চাপ “প্রশাসনিক বিচারব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য সরাসরি হুমকি” হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং নাগরিকদের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট করছে।
অন্যদিকে লেইতাও আমারোকে পাঠানো চিঠিতে তারা সতর্ক করেছে, এই অচলাবস্থা শুধু অভিবাসন–সংক্রান্ত মামলাতেই নয়, বরং নগর পরিকল্পনা, পরিবেশ, সরকারি ক্রয়বিক্রয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক বিষয়েও ব্যাপক বিলম্ব ঘটাচ্ছে। এর ফলে পর্তুগালের বিচারব্যবস্থাকে “অদক্ষ” হিসেবে জনগণ দেখতে শুরু করেছে।
সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়—
“AIMA–এর ব্যর্থতা দূর করতে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক বিচারব্যবস্থার সক্ষমতা আরও হ্রাস পাবে।”
ASJP সদস্যদের উদ্দেশে পাঠানো বার্তায় বলা হয়,
“আমাদের দায়িত্ব হলো স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও কঠোরতার সঙ্গে বিচার করা—অদক্ষ প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর কাজ করা নয়। বিচার বিভাগের মর্যাদা কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়।”