পর্তুগালের বর্তমান পিএসডি/সিডিএস (PSD/CDS) জোট সরকার অভিবাসীদের পারিবারিক পুনর্মিলন এবং নাগরিকত্ব আইনের পর্যালোচনায় নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো এ ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী জানান, নাগরিকত্ব আইন পর্যালোচনার প্রস্তাবটি সরকারপ্রণীত কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা আগামী শনিবার সংসদে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, “নাগরিকত্ব আইন পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা — যেমন সময়সীমা বাড়ানো এবং গণনার সময় সংশোধন — আগের পিএসডি/সিডিএস সরকারের আমলেই ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও তা অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
পারিবারিক পুনর্মিলন সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে সমাজ, রাষ্ট্র এবং সরকারি পরিষেবাসমূহের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে অনেক অনুরোধ বাস্তবে স্থগিত রয়েছে।”
তিনি যোগ করেন, “যেসব নিয়ম বাস্তবে স্থগিত থাকার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, সেই নিয়মগুলোই এখন আইনি কাঠামোতে আনতে হবে।”
লুইস মন্তেনেগ্রো নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার অভিবাসন ইস্যুকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং একে ‘মানবিকতাভিত্তিক একত্রীকরণের’ মাধ্যমে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি বন্দরনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা, প্রবেশ-নিয়ন্ত্রণ জোরদার এবং আগের ঝুলে থাকা আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো বলেন, “গত এক বছরে যে অভিবাসন নীতিতে মৌলিক ও দৃঢ় পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।”
মে মাসে অনুষ্ঠিত আগাম সংসদ নির্বাচনের পর ৫ জুন নতুন পিএসডি/সিডিএস জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর অংশ হিসেবে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব নীতির সংস্কারকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।