পর্তুগালের সাংবিধানিক আদালত সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে নাগরিকত্ব বিধিমালার একটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করেছে। আদালতের রায় অনুযায়ী, পর্তুগালের জাতীয়তা বিধিমালার (Regulamento da Nacionalidade Portuguesa) ৫৬ অনুচ্ছেদের ১ নম্বর উপধারা, যেটি ২০২২ সালের ১৮ মার্চ তারিখে ডিক্রি-ল’ নং ২৬/২০২২ দ্বারা সংশোধিত হয়েছিল, তা পর্তুগালের জাতীয়তা আইন (Lei da Nacionalidade) এর ১০ অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং অতএব, অবৈধ।
রায়ে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নাগরিকত্বপ্রাপ্তির বিরোধিতা করার জন্য পাবলিক প্রসিকিউশন (Ministério Público) যে সময়সীমার মধ্যে মামলা করতে পারে, সেটির গণনা শুরু হয় নাগরিকত্ব রেজিস্ট্রেশনের তারিখ থেকে। কিন্তু জাতীয়তা আইনে নির্ধারিত হয়েছে, এই গণনা শুরু হবে সেই ঘটনার তারিখ থেকে যার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব অর্জন সম্ভব — অর্থাৎ, ইচ্ছার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঘোষণার দিন থেকে।
আদালতের মতে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ব্যত্যয়, কারণ নাগরিকত্ব একটি মৌলিক অধিকার, এবং এ ধরনের সময় নির্ধারণ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নীতির মূল কাঠামোকে প্রভাবিত করে।
এই রায়টি সংবিধানের ১১২ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদে বর্ণিত “সংরক্ষিত আইন” এর ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করে, যার মাধ্যমে শুধু সংসদ কর্তৃক গৃহীত সাংগঠনিক আইনের মাধ্যমেই নাগরিকত্বের মতো মৌলিক অধিকার নিয়ে আইন করা যায়। সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি ডিক্রি-ল’ (decreto-lei) এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
তবে ২০২৪ সালের মার্চে প্রণীত নতুন সংশোধনী আইন (Lei Orgânica n.º 1/2024) অনুযায়ী, এখন থেকে আইনগতভাবেই নাগরিকত্ব বিরোধিতার সময় গণনা শুরু হবে রেজিস্ট্রেশনের দিন থেকে। অর্থাৎ আদালতের রায়টি মূলত পুরনো বিধান বাতিল করেছে, যা ইতোমধ্যে নতুন আইন দ্বারা সংশোধিত হয়েছে।
মূল পয়েন্টসমূহ:
- আদালতের রায়: জাতীয়তা বিধিমালার ধারা ৫৬(১) অবৈধ ঘোষণা
- কারণ: এটি সংবিধান অনুযায়ী “সংরক্ষিত আইন” (lei orgânica) লঙ্ঘন করে
- প্রভাব: রায়টি মৌলিক অধিকার রক্ষা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে
- বর্তমান অবস্থা: সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন রেজিস্ট্রেশনের তারিখই গণনার শুরু