ক্ষমতায় থাকলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিত সমাজতান্ত্রিক সরকার: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Portugal recognized Palestine socialist government

পর্তুগালের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও গোমস ক্রাভিনিউ বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক দল (PS) ক্ষমতায় থাকলে দেশটি ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিত। রেডিও টিএসএফ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি এই ঘোষণা দেন একটি চিঠির মাধ্যমে, যা পাঠানো হয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে।

ইউরোপের মোট ১১টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া।

এ প্রেক্ষাপটে পর্তুগালের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঙ্গেল জানান, দেশটি এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপে নেই। লিসবনে ইউরোআফ্রিকান ফোরামের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গেল বলেন, “পর্তুগাল একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অন্য কোনো দেশের দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং এটি অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হয়।”

তবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রাভিনিউ বলেন, “যদি সমাজতান্ত্রিক সরকার এখনও ক্ষমতায় থাকত, তাহলে আমরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতাম। গাজায় যা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবে গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়। আমি একে গণহত্যা বলতে একটুও দ্বিধা করি না।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ডানপন্থী সরকার পূর্ববর্তী প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে ভিন্নতা দেখাচ্ছে। সমাজতান্ত্রিক দল ইতোমধ্যেই সরকারের ‘প্রবল নীরবতা’র সমালোচনা করেছে।

এদিকে, পর্তুগাল সরকারের নিরবতায় দেশের সংস্কৃতি ও শিল্প অঙ্গনের ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি খোলা চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন গাজায় চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “এ মুহূর্তে নিরপেক্ষ থাকা মানে হলো, ন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া। ইউরোপের জন্য এটি লজ্জাজনক, যদি আমরা চুপচাপ দেখি শিশুরা খাবার খুঁজতে গিয়ে মারা যাচ্ছে, অথচ আমরা কিছুই করি না।”