আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার এরেনা কোমবেতারে স্টেডিয়ামে ইউরো অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পর্তুগাল। ম্যাচের ৩০ মিনিটে আনিসিও কাবরাল প্রথম গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন। আট মিনিট পর, ডুয়ার্টে কুনহা দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে গিল নেভেস তৃতীয় গোলটি করে পর্তুগালকে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কোচ বিনো মাসায়েসের অধীনে এই জয় পর্তুগালের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ২০২৪ সালে ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে হারতে হয়েছিল তাদের।
ম্যাচ শেষে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা UEFA-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ বিনো মাসায়েস বলেন, “প্রতিপক্ষ কঠিন ছিল, তাই আমরা একটি কৌশল নির্ধারণ করেছিলাম যা সফল হয়েছে। খেলোয়াড়েরা আমার বার্তা দারুণভাবে বুঝে খেলেছে।” তিনি এই বিজয়কে “অসাধারণ অনুভূতি” হিসেবে অভিহিত করেন এবং খেলোয়াড়দের ধারাবাহিকতা ও পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।
প্রথম গোলদাতা আনিসিও কাবরাল জানান, এটি ছিল “অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা”। তিনি দলগত পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেন এবং গোলের জন্য সহকারী খেলোয়াড় বার্নার্দো লিমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। UEFA-কে তিনি বলেন, “পর্তুগাল একটি পরিশ্রমী দেশ, ধীরে ধীরে আমরা অনেক কিছু জিতে নিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাবো।”
পর্তুগিজ ডিফেন্ডার মারতিম চেলমিক বলেন, “এটা ছিল জীবনের সেরা মুহূর্ত। আমি এই সময়টাকে সারাজীবন মনে রাখবো।” তিনি বলেন, “এটি ছিল প্রতিটি শিশুর স্বপ্ন পূরণের মতো।”
অন্যদিকে, ফ্রান্সের কোচ লিওনেল রুক্সেল ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি খেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত, তারা সব কিছু দিয়েছে। কিন্তু কিছু ভুলের মূল্য দিতে হয়েছে।” তিনি পর্তুগালের প্রশংসা করে বলেন, “তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল ছিল।”
এই জয়ের মাধ্যমে পর্তুগাল সপ্তমবারের মতো ইউরোপীয় যুব শিরোপা জয় করে। এর আগে আন্ডার-১৭ দল ২০১৬ ও ২০২৩ সালে এবং আন্ডার-১৬ দল ১৯৮৯, ১৯৯৫, ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
শিরোপার পথে, পর্তুগাল আলবেনিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে। জার্মানির বিপক্ষেও ২-১ গোলে জয় পায় তারা। গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের সমান পয়েন্ট ও গোল সংখ্যাও ছিল পর্তুগালের, কিন্তু ফাইনালে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই শিরোপা জিতে নেয় দলটি।