আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন—মেঘে যেন বিশাল ছিদ্র তৈরি হয়েছে! দেখতে যেন আকাশে গোলাকার গর্ত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি কোনো অস্বাভাবিক বিপর্যয় নয়, বরং খুবই বিরল একটি আবহাওয়া–সংক্রান্ত ঘটনা—ফলস্ট্রিক হোল বা ক্যাভাম (Cavum)।
পর্তুগালের তিনটি অঞ্চলের আকাশে এ ধরনের মেঘ দেখা যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। দেশের জনপ্রিয় আবহাওয়া পেজ Meteo Trás os Montes তাদের অনুসারীদের পাঠানো বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করলে বিষয়টি আরও নজর কাড়ে।
কীভাবে তৈরি হয় এই অদ্ভুত মেঘ?
ফলস্ট্রিক হোল তখনই সৃষ্টি হয়, যখন মেঘের ভেতরে পানির তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় কিন্তু তা তখনও তরল অবস্থায় থাকে। এ সময় মেঘের কোনো অংশে বরফকণা তৈরি হতে শুরু করলে তার আশপাশের পানির কণা দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়। ফলে মেঘের মাঝখানে তৈরি হয় গোলাকার বিশাল ফাঁক—যা দেখতে অনেকটা আকাশে গর্তের মতো লাগে।
ব্রাজিলের আবহাওয়া সংস্থা MetSul Meteorologia জানায়, মেঘের স্তরের একটি অংশ বরফে রূপান্তরিত হয়ে নিচে পড়তে শুরু করলে কেন্দ্রের ওই বিশাল ছিদ্রটি তৈরি হয়। এ কারণে মেঘের মাঝখানে নিখুঁত বৃত্ত বা ডিম্বাকৃতির গর্তের মতো চেহারা দেখা যায়।
দু’চোখ জুড়ানো বিরল দৃশ্য
এই বিরল আবহাওয়া ঘটনা খুব কম দেশেই দেখা যায়। তাই আকাশে এমন মেঘ দেখা মাত্রই স্থানীয় বাসিন্দা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষক ও কৌতূহলী মানুষজন ছবি তুলতে শুরু করেন। অনেকেই মন্তব্য করেন—“মনে হলো আকাশে যেন অন্য কোনো জগতের দরজা খুলে গেছে!”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং কোনো বিপদের ইঙ্গিত নয়। এমন মেঘ দেখা মূলত শীতকালে এবং মেঘের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময়ে বেশি ঘটে।
