‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। নতুন এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।
আজ সকালে সচিবালয়ে দেখা যায়, শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ দপ্তর ছেড়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। “অবৈধ কালো আইন মানব না” স্লোগানে মুখরিত হয় সচিবালয় এলাকা। মিছিল সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও চত্বর প্রদক্ষিণ করে। কর্মীদের দৃঢ় অবস্থানে সচিবালয়ের পরিবেশ ছিল উত্তপ্ত।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বদিউল কবীর দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “এই কালাকানুন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।” বক্তব্য শেষে তিনি ও তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাদামতলায় অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এতে ৪৫ বছর আগের কিছু বিশেষ বিধান নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দ্রুত শাস্তি বা চাকরিচ্যুতির পথ উন্মুক্ত হবে। এ কারণে এই অধ্যাদেশকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।