দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম

shahidul alam returns from israel

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হাতে আটক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে শহিদুল আলমকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান শহিদুল আলম। সেখানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানান, শহিদুল আলমের ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকার ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।

শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে জানায় বাংলাদেশ সরকার। তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পুরো প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ। শহিদুল আলমের মুক্তি ও প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

তুরস্কের সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে ইসরাইল থেকে ফ্লাইট ‘টিকে ৬৯২১’-এ যাত্রা করেন শহিদুল আলমসহ অন্যান্য যাত্রীরা। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুলে অবতরণ করে।

দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম গাজায় ইসরাইলি অবরোধ ভাঙা ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা করা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নয়টি নৌযানের ওই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন। গত বুধবার ইসরাইলি বাহিনী বহরটিতে হামলা চালিয়ে সকলে আটক করে।

ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সরকার শহিদুল আলমের মুক্তিতে তৎপর হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানায়, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তাঁর অবৈধ আটক ঘটনার পরপরই সরকার দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।