দেড় বছরের বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম পেলেন ৯ মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটানো ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। তাদের ব্যাটে ভর করেই প্রথম দিন শেষে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ—৩ উইকেটে ২৯২ রান। শান্ত ১৩৬ এবং মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েছেন ২৪৭ রানের বিশাল জুটি, যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সবমিলিয়ে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ জুটি।
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন শান্তর
দীর্ঘ ১৫ মাস পর সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন শান্ত। সর্বশেষ তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৪ সালটি ব্যাট হাতে শান্তর জন্য হতাশাজনক কেটেছে, টেস্টে গড় ছিল মাত্র ২১.১৩। তবে ২০২৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করার পর এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ইনিংস খেললেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
মুশফিকের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
অন্যদিকে, মুশফিকুর রহিমের জন্যও এই সেঞ্চুরি বিশেষ গুরুত্ববাহী। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং সমালোচনার পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারও ছিল চাপের মুখে। ১৩ ইনিংসে ফিফটি পর্যন্ত না পাওয়া মুশফিক অবশেষে সেঞ্চুরির খরা কাটালেন। ১৭৬ বলে ৫ চার মেরে শতক পূর্ণ করা এই ইনিংস তার আত্মবিশ্বাস ফেরানোর বড় হাতিয়ার হতে যাচ্ছে।
শুরুতে বিপর্যয়
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টের শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানে এনামুল হক বিজয়কে (০) হারায় দল। এরপর মুমিনুল হক (২৯) এবং সাদমান ইসলাম (১৪) সামান্য প্রতিরোধ গড়ে ফিরেছেন। অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্ননায়েকে তাদের শিকার করেন।
শান্ত-মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং
প্রথম সেশনের বিপর্যয়ের পর শান্ত-মুশফিক লঙ্কান বোলারদের আর কোনো সুযোগ দেননি। ৭৩.৫ ওভারে ২৪৭ রানের পার্টনারশিপে তারা লঙ্কানদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। শান্ত বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেললেও মুশফিক খেলেছেন পরিশীলিত, ঝুঁকিহীন ইনিংস। বাউন্ডারির চেয়ে এক-দুই রানেই মনোযোগী ছিলেন তিনি।