শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন

Sheikh Hasina War Crimes Tribunal Investigation

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনার পর আজ তা আনুষ্ঠানিকভাবে মামলায় রূপান্তর করা হলো।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়। পুনর্গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা প্রথম মামলা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যেটি ‘মিস কেস’ বা ‘বিবিধ মামলা’ হিসেবে রুজু করা হয়।

এই মামলা ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। একটি মামলায় অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে দীর্ঘ ১৫ বছরে গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। অপর মামলাটি ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের ঘটনায় দায়ের হয়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে চলমান ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার, প্রশাসনের অংশবিশেষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ উঠে আসে। এ সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এই মামলাটি দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।