আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক সমিতি। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে তারা স্থানীয় বাজারেও দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সরকার উৎপাদকদের প্রস্তাব পুরোপুরি মেনে নেয়নি।
শনিবার জানা যায়, প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও সরকার রাজি হয়েছে মাত্র ১ টাকা বৃদ্ধিতে। এ অবস্থায় রাজধানীর পাইকারি বাজারে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে সয়াবিন তেলের ঘাটতি। যদিও খুচরা বাজারে এর প্রভাব এখনও তেমনভাবে পড়েনি।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শিগগিরই বাজারে দাম সমন্বয় হবে।
তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাস ধরে সয়াবিন তেলের দামে ওঠানামা চলছে।
মে মাসে প্রতি টনের দাম ছিল ১,১৮০ ডলার। জুলাই মাসে দাম আরেকটু বাড়ে। আগস্টে তা কিছুটা কমলেও বর্তমানে দাম স্থিতিশীল হয়ে প্রতি টন ১,২৫০ ডলারের কাছাকাছি রয়েছে।
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৪ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মোট চাহিদার মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ। বাকি অংশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারের দামের প্রভাব সরাসরি পড়ে দেশের বাজারে।