আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে দেশে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, তাই দাম সমন্বয়ের দাবি তুলেছে তারা।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত দাম বাস্তবতার চেয়ে বেশি। সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তাদের প্রস্তাব অস্বাভাবিক। বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এসব প্রস্তাব যাচাই করে থাকে।
এর আগে গত ১২ আগস্ট সরকার পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল, তবে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত থেকে ১৮৯ টাকা ছিল। এরও আগে এপ্রিল মাসে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারিত হয়েছিল ১৮৯ টাকা এবং পাম তেল ১৬৯ টাকা।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর আরোপ করেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই করও ভোজ্যতেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে।