স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন আর ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজ আমরা করছি। আশা করি, আগামী দিনে কেউ স্বৈরাচার হতে চাইলে জনগণ সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটাবে। কারণ, জনগণ রাস্তায় নামলে কোনো শক্তি থামাতে পারে না।”
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন’ উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ থেকেই শুরু হয়েছে ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন’। প্রথম দিনে দেশের মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ এবং শুরু হয়েছে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত।
এছাড়া আজ থেকেই জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।
মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী দিন ৫ আগস্ট, যা ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওইদিন ৩৬ জেলার কেন্দ্রে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেস অব জুলাই’সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং ড্রোন শোর আয়োজন রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার যেন জনগণের ওপর জেঁকে বসতে না পারে। জনগণই হবে সেই রক্ষাকবচ।”