সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর মোবাইলে সাবেক আওয়ামী লীগদলীয় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ‘কল’ এসেছে—এমন দাবি ঘিরে দলীয় অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও সমালোচনা। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি স্ক্রিনশটকে ঘিরে দলের কিছু নেতা-কর্মী প্রশ্ন তুলেছেন, ইমদাদের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়রের যোগাযোগ হলো?
তবে ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং দলের ভেতরে ঈর্ষান্বিত একটি মহল তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদ বলেন, বারুতখানার এক সভায় থাকাকালে নামাজ পড়তে গেলে তার ফোন আখতার নামের এক কর্মীর কাছে ছিল। সে সময় ‘আনোয়ারুজ্জামান ইউকে’ নামের একটি নম্বর থেকে কল আসে এবং সেটির ছবি দলীয় অন্য দুই সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, “যে আনোয়ারুজ্জামানের কারণে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ থাকার প্রশ্নই আসে না।”
তিনি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যে থাকার সময় পুরোনো নম্বরটি ফোনে সেভ হয়ে থাকতে পারে, তবে কখনো কথা হয়নি।
অন্যদিকে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, যাকে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত বলেও ইঙ্গিত দেন ইমদাদ, তিনি বলেন, “আমার কোনো পিএস নেই। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।”
বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আনোয়ারুজ্জামানের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ দলের নেতাকর্মীদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ঘটনার প্রভাব দলীয় মনোনয়ন ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।