আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা সর্বশেষে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে গণ্ডগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে দেশের ভেতরে সিভিল-ওয়ার (গৃহযুদ্ধ) সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং জনগণ সেই প্ররোচনায় পা দেয়নি—এই মন্তব্যগুলো ট্রাইব্যুনালে তাজুল ইসলাম নিজেই করেন।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, যারা অপরাধী হিসেবে বিচারের মুখোমুখি আছেন তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বের প্রতি তিনি অটল অবস্থান রেখেছেন এবং বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ উপস্থাপনের কথাও উল্লেখ করেন।
আজকের শুনানিতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। মামলার তৃতীয় অভিযুক্ত—সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন—রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন বলে প্রসিকিউশন জানায়। ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর জানানো হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তাঁর যুক্তিতর্কে বলেন, ওই মামলার আসামিদের মধ্যে অনুশোচনার লক্ষণ নেই; বিচারপ্রক্রিয়ায় যারা বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁদের ওপর হত্যার হুমকির কথাও তাতে উল্লেখ রয়েছে। প্রসিকিউটর দাবি করেন, বিচারক ক্ষমতায় এ ধরনের নিরস্ত্রীকরণ ঘটেনি এবং সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগের দাবি তুলেছেন। প্রসিকিউটরের এই বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও মামলাটিকে নজরে রেখেছে; প্রসিকিউটর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন বলে আন্তর্জাতিক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ আছে এবং মামলাসহ সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বহুজাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদিত হয়েছে।