বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়—যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সবাই নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করাই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (আজ) বিকেলে রাজধানীর ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি দেশবাসীর প্রতি সালাম জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে ৯০-এর দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছিল। তবে এরপরও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।
তারেক রহমান বলেন, একাত্তরের মতোই ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, নারী-পুরুষ, গৃহবধূ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দল-মত নির্বিশেষে ৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক অধিকার এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার চায়। এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে পাহাড় ও সমতলের মানুষ, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে। বিএনপি চায়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। একটি নিরাপদ, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়াই তাদের লক্ষ্য।
