নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (তারিখ) দুপুর ১টার দিকে তিনি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে পৌঁছে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ১০৪ নম্বর কক্ষে তার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর ৭ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারেক রহমান জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হাতে পাবেন।
ইসি সূত্র জানায়, মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যেই ভোটার হওয়ার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন কমিশন ভবন ত্যাগ করেন তারেক রহমান। এর মাধ্যমে ভোট প্রদান ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব জটিলতার অবসান হলো।
নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রবেশের আগে রাস্তার দুপাশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তফসিল ঘোষণার পর তারেক রহমান ছাড়াও শেখ রেহেনা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তারেক রহমানের ভোটার কার্যক্রমের সময় ইসির সিনিয়র সচিব, এনআইডির মহাপরিচালক এবং আইডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার হয়ে বাসায় ফিরে যান। নির্বাচন কমিশন গত ৩১ অক্টোবর ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করলেও তফসিল ঘোষণার পর তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার হন। এ কারণে ঢাকা-১৭ (গুলশান-২ এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড) সংসদীয় আসনের বিদ্যমান ভোটার তালিকা সংশোধন করে সম্পূরক চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
উল্লেখ্য, বিদেশে অবস্থানের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ভোটার হতে পারেননি তারেক রহমান। ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হওয়ার আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি লন্ডনে যান। আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সব আইনি বাধা কাটল তারেক রহমানের। ইতোমধ্যে বগুড়া আসন থেকে তার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ১১ ডিসেম্বর। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
